আগামীকাল পালিত হবে মহান মে দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য—“শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে”।
১৮৮৬ সালের ১লা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমের মর্যাদা, দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের আত্মত্যাগের স্মরণে সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশসহ প্রায় ৮০টি দেশে এদিনটি জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়, অন্য অনেক দেশেও বেসরকারিভাবে দিবসটি উদযাপিত হয়।
মে দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের জীবনে ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের উন্নয়ন, দৈনিক কাজের সময় নির্ধারণ এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই দিবসের প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
বর্তমানে শ্রমিক অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। গত ১৭ নভেম্বর গঠিত ১০ সদস্যের এই কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিআইএলএস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। কমিশন অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে একটি সুপারিশমালা তৈরি করে ২১ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তা হস্তান্তর করে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে— গত ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ২০তম সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যৌক্তিক কারণ ও শ্রম আইন মেনে চলা ব্যতীত কোনো শ্রমিককে চাকরিচ্যুত বা ছাঁটাই করা যাবে না। ছাঁটাইয়ের আগে স্থানীয় প্রশাসন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর, শিল্পাঞ্চল পুলিশ এবং বিজিএমইএ’র অনুমোদন নিতে হবে।
এছাড়া, মহান মে দিবসে সব কারখানা বন্ধ রাখতে হবে। দিবসে কার্যক্রম চালু রাখলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নির্দেশনাগুলো শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতারই বহিঃপ্রকাশ।
Leave a Reply