চট্টগ্রামে ইনিংস ব্যবধানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরালেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাস্যোজ্জ্বল থাকলেও তার কণ্ঠে ছিল আত্মসমালোচনার সুর। শান্তর মতে, একটি ম্যাচ জিতে সব ভুল মুছে ফেলা যায় না; বরং এই জয়ই মনে করিয়ে দিচ্ছে—পুরো সিরিজটাই জেতা সম্ভব ছিল।
‘আমি খুব বেশি খুশি না,’ বলেন শান্ত। ‘এই সিরিজটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলিনি। কামব্যাকটা ভালো হয়েছে, তবে প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে যাওয়া যাবে না।’
তবে হতাশার মধ্যেও কিছু প্রাপ্তিতে সন্তুষ্ট শান্ত। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে ভালো শুরু এনে দেওয়া দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়ের প্রশংসা করেছেন তিনি। এছাড়া প্রথম ইনিংসে তানজিম সাকিবের দায়িত্বশীল ব্যাটিং এবং তাইজুল ইসলামের স্পিন জাদুও প্রশংসিত হয়েছে অধিনায়কের মুখে।
‘সাকিবের ব্যাটিংটা খুব ভালো লেগেছে,’ বলেন শান্ত। ‘তাইজুল ভাই আগেও বল ফেস করেছেন, এবারও ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন। স্পিন কোচ সোহেল স্যারের অবদানও অনেক।’
মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে শান্ত জানান, ‘মিরাজের বোলিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ৪-৫ নম্বরে ব্যাট করাটা চ্যালেঞ্জিং, তাই ৬-৭ নম্বরে ও যেভাবে খেলছে, সেটাই দলের জন্য ভালো।’
স্পিনারদের ধারাবাহিকতা ও লোয়ার অর্ডারের অবদান নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে কিছুটা হতাশা আছে শান্তর। ‘স্কোরবোর্ডে সবাই যদি ৪০-৪০ করে আর কেউ ১০০ না করে, সেটা দলের জন্য ভালো না। ভবিষ্যতে চাই, কেউ যেন ১৫০ বা ২০০ করে।’
আগামী সিরিজ শ্রীলঙ্কা সফর নিয়েই এখন চিন্তিত শান্ত। তার ভাষায়, ‘শ্রীলঙ্কায় উইকেট ভালো থাকে। চাইবো টপ অর্ডার বড় ইনিংস খেলুক—শুধু ৪০-৫০ নয়, লম্বা ইনিংস খেলতে হবে।’
জয়ের পরও আত্মসমালোচনায় ভরা শান্তর কণ্ঠস্বরে ফুটে উঠেছে দলের বড় কিছু গড়ার মানসিকতা—যেখানে লক্ষ্য শুধু জয় নয়, ধারাবাহিকতা ও মান উন্নয়ন।
Leave a Reply