চার মাস লন্ডনে চিকিৎসা শেষে আগামী সোমবার, ৫ মে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, “ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি ৫ মে দেশে ফিরবেন।”
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁকে দেশে আনা হবে। যদিও পূর্ণাঙ্গ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা না মিললেও, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও সফরসঙ্গীরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন তাঁর ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বেগম জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন ৮ জন। তারা হলেন:
তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান
আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি
বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন
চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক চৌধুরী
এপিএস মাসুদুর রহমান
দুই গৃহপরিচারিকা: ফাতেমা বেগম ও রূপা হক
২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারের পর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হন খালেদা জিয়া। পরে করোনা মহামারির সময় সরকার তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে তিনি পূর্ণ মুক্তি পান। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির দুই মামলার রায় বাতিল করে।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানে ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে গত ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। দীর্ঘ ছয় বছরের বেশি সময় পর এবার তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন।
Leave a Reply