দেশের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ‘মানবিক করিডর’ ইস্যু। জানা গেছে, রাখাইনে জাতিসংঘের ত্রাণ পাঠাতে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে সরকার। আর এতেই উদ্বেগ প্রকাশ করছে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল।
তাদের মতে, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাড়াহুড়া না করে সকল রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন ছিল। তারা বলছেন, রাখাইনের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে, করিডরের সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা: পাকিস্তানশাসিত এলাকায় খাদ্য মজুদের নির্দেশ
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “উপকার করতে গিয়ে যদি অন্য কারও ক্ষতি হয়, সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণও তা মানবে না। ঝুঁকিপূর্ণ এই বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন।”
করিডরের নিরাপত্তা, এর ধরন এবং চীন-ভারতসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলোর অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয় বলেও উল্লেখ করেছেন অনেকে।
বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এই করিডর সামরিক রূপ নিতে পারে। তাই দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা ঠিক হবে না।”
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রশ্ন করেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কার সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিলো? এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এত দ্রুত সিদ্ধান্ত কেন?”
নেতারা আরও জানতে চান, করিডরটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে কি না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “যে কোনো সিদ্ধান্ত জনগণের সামনে পরিষ্কার হওয়া উচিত। তাহলেই জনগণ তা সমর্থন করবে।”
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, “এ ধরনের সিদ্ধান্ত সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া জরুরি।”
নেতাদের মতে, এই করিডর পরিকল্পনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। গত আট বছরে ১৫ লাখ রোহিঙ্গার কাউকেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি; বরং এখনও নতুন করে বহু রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে।
সূত্র: যমুনা টেলিভিশন।
Leave a Reply