বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (৪ মে) বিকেল ৪টায় রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ওইদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তারেক রহমান বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যু গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করেছে।”
অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জনমনে স্বস্তি নেই
তারেক রহমান আরও লেখেন, “তিনি ছিলেন দেশের একজন বরেণ্য আইনজীবী। আইনের অঙ্গনে তার অবদান ছিল অসামান্য। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সংযম ও দায়িত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতেন। প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী এই মানুষটি সর্বমহলে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে সম্মানিত ছিলেন। তার বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত জনস্বার্থে ছিল কার্যকর।”
তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। দেশে ফিরে তিনি পুনরায় সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় সক্রিয় হন এবং ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি জুনিয়র আইনজীবীদের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে যান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সে পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। বিএ (অনার্স) ও এমএ সম্পন্ন করার পর তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ১৯৮০ সালে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং পরে ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট ও ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
Leave a Reply