কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মণ্ডলের ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। দুই মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দবেড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের খাস কামরায় একটি বিছানার ওপর বসে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মণ্ডল এক ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ টাকা গণনা করে নিচ্ছেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, “বেশি করে দেন, বড় স্যারের কাছে গেছেন যহন। কাল না কলেন ১৫ দিমু।”
সিরিয়ায় ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা, বহু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
ভিডিওর সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হলে চর বন্দবেড় গ্রামের ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহেল কাফী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, “আমার ৩ একর জমির খাজনা দিতে গিয়ে অফিসে গেলে সরকার নির্ধারিত ১ লাখ ১২ হাজার টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু আমার ২০২৪ সাল পর্যন্ত সব খাজনা দেওয়া আছে। পরে আব্দুস ছালাম মণ্ডল আড়ালে নিয়ে গিয়ে ১ লাখ টাকায় নিষ্পত্তির প্রস্তাব দেন।”
তিনি আরও বলেন, “আলোচনা ও দরকষাকষির পর আমি কয়েক কিস্তিতে মোট ৭১ হাজার টাকা দেই। কিন্তু পরে দাখিলায় দেখি, শুধু ১ হাজার ৫০৫ টাকা পরিশোধ দেখানো হয়েছে। বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি, তাই এই টাকা ফেরত চাই এবং ঘুষ-দুর্নীতির সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”
ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে বন্দবেড় ভূমি অফিসে গেলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মণ্ডল বলেন, “বক্তব্য দিতে হলে স্যারের অনুমতি নিয়ে দেব।” এ কথা বলেই তিনি কথা না বলে চলে যান।
এ বিষয়ে রৌমারীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল দিও বলেন, “জনগণেরও কিছু দায় থাকে। মাঝে মাঝে তারা নিজে থেকেই দোষারোপ করে। অভিযোগ থাকলে প্রমাণসহ আমার কাছে বা ইউএনও’র কাছে দাখিল করুক।”
Leave a Reply