পটুয়াখালীর মহিপুরের মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল কমিটিতে ছাত্রলীগের পদধারী নেতার অন্তর্ভুক্তিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। একই কলেজের ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রাফি ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক পদও পাওয়ায় এ বিতর্কের সূত্রপাত।
এই নিয়ে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করেও কোনো সমাধান না আসায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এরই জেরে সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতির পদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী মো. রাইসুল ইসলাম রুপুকে আটক করে মহিপুর থানা পুলিশ। পরে পদবঞ্চিত নেতারা তাকে মুক্ত করার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ মুচলেকা নিয়ে রুপুকে মহিপুর থানা বিএনপির নেতাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
মহিপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহজাহান পারভেজ বলেন, “ছাত্রদলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে একজনকে থানায় নেওয়া হয়। পরবর্তীতে থানার সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
রাইসুল ইসলাম রুপু বলেন, “কলেজ কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এবং তাদের অনুসারীরা মেয়েদের ইভটিজিং করলে আমরা প্রতিবাদ জানাই। এরপর তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।”
অন্যদিকে, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম দাবি করেন, “রুপুসহ কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের এক সদস্য নজরুল আহত হয়েছে।”
এ বিষয়ে মহিপুর থানা ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাফর হাওলাদার জানান, “থানা ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী কলেজ কমিটির বিষয়ে অবগত ছিল না। ৬ মে ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। কমিটিতে ছাত্রলীগের পদধারী ও অনুসারীদের অন্তর্ভুক্তি আমাদের বিস্মিত করেছে।”
মহিপুর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানজিল আলম জানান, “এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত জেলা কমিটির কাছে জমা দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদলের এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে রাইসুল ইসলাম রুপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
Leave a Reply