প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’-২০২৫ উপলক্ষে আজ শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। আগামীকাল ১৭ মে এই দিবস পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য— ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন’ (Gender Equality in Digital Transformation)।
ড. ইউনূস বলেন, “টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ একটি বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ গঠনের ভিত্তি।”
তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি জনগণের সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে এবং হয়রানি কমাতে ‘নাগরিক সেবা’ নামে একটি ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন ইউনিয়নে নাগরিক সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা প্রদান শুরু হয়েছে।
নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ এবং ছাত্রীদের জন্য ‘শি-এসটিইএম’ ট্রেনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ খুব শিগগিরই স্যাটেলাইট-ভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে, যা প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাগুলোকেও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনবে— যা ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বাণীর শেষে তিনি বলেন, “বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল ও সমতা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো— যেখানে থাকবে ডিজিটাল সমতা ও ন্যায়বিচার।”
Leave a Reply