অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম চাল ও গম মজুদে সন্তোষজনক অবস্থানে সরকার:খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, দেশের নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আরো ৫ লাখ নতুন পরিবার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে চলতি কর্মসূচির আওতায় মোট ৫৫ লাখ পরিবার বছরে ৬ মাস ৩০ কেজি করে চাল পাবে, যা এতদিন ছিল ৫০ লাখ পরিবার এবং ৫ মাস।
রোববার (১৮ মে) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে খাদ্য উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের খাদ্য মজুদ বর্তমানে সন্তোষজনক। আজ সকাল পর্যন্ত চাল ও গম মিলিয়ে মজুদ রয়েছে ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন। এরমধ্যে চাল ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন এবং গম তিন লাখ ৫ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন।
খাদ্য উপদেষ্টা জানান, চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে এবং ১৪ লাখ মেট্রিক টন চাল অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে এখনই চাল আমদানির প্রয়োজন নেই। তবে প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আমদানি করা হবে।
গমের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে বার্ষিক গমের চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ টন হলেও উৎপাদন মাত্র ১০ লাখ টন। বাকি ৬০ লাখ টন বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, যার বড় অংশ প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে আসে। সরকারও বছরে প্রায় ৭ লাখ মেট্রিক টন গম ওএমএসের আওতায় আমদানি করে।
খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করতে ‘ওএমএস নীতিমালা-২০১৫’ বাতিল করে ‘ওএমএস নীতিমালা-২০২৪’ জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “বাজারে খাদ্য সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ওএমএস। ট্রেন পরিবহন সাশ্রয়ী হলেও রেলওয়ের সক্ষমতা ও আন্তরিকতার ঘাটতির কারণে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।”
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নিয়েও উপদেষ্টা বলেন, এর কাঠামো ও কার্যকারিতা বাড়াতে জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তা নিয়োগ ও ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। তবে দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইন প্রয়োগে সময় লাগবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র: বাসস
Leave a Reply