হৃদয়ে ইসলামের শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার অটল সংকল্প নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফেজ ও মাদ্রাসা ছাত্র সিয়াম হোসেন। নিজ গ্রামে মাদ্রাসার অভাবে নিজের হাতে একটি মাদ্রাসা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে জীবনের শেষ দিনেও ছিলেন তৎপর। কিন্তু ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সেই পথচলা থেমে যায় পুলিশের গুলিতে।
এনায়েতপুর থানার সামনে স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সিয়াম। তার মৃত্যুর ঘটনায় শুধু পরিবার বা গ্রাম নয়, কেঁদেছে গোটা জাতি। মা লাকি খাতুন বলেন, “সে কোরআনের হাফেজ ছিল, মহান স্বপ্ন ছিল একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার। আজ সে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন বেঁচে আছে।”
সিয়ামের পরিবার সরকারের কাছে দুটি দাবির কথা জানায়:
১. শহীদ সিয়ামের নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হোক।
২. বড় ভাই রাকিবুলের জন্য একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা হোক।
পরিবারটি কষ্টে দিন পার করছে। বৃদ্ধ বাবা-মা অসুস্থ, বড় ছেলে বেসরকারি চাকরিতে অল্প বেতনে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলেন, সিয়াম ছিলেন নম্র-ভদ্র, সুমধুর কণ্ঠের আজান ও কোরআন তেলাওয়াতের জন্য পরিচিত। তার মৃত্যু গ্রামবাসীর জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
শহীদ সিয়ামের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়—এটাই আজ তার পরিবার ও সহযোদ্ধাদের কামনা।
Leave a Reply