বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কালের কণ্ঠের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল ও খবরপত্রের বাউফল প্রতিনিধি এইচএম বাবলুকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৯ মে) বেলা ১১টার দিকে বাউফল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাউফল দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির যৌথ আয়োজনে আয়োজিত একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠানে ইউএনও উপস্থিত হন। সেখানে ইউএনও অভিযোগ করেন, আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
কমিটির সভাপতি ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল বলেন, ইউএনওকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য গত কয়েক দিনে তিনবার কার্যালয়ে যাওয়া হয় এবং ফোন করা হয়, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। এ প্রসঙ্গে ইউএনও উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আমি কারও ফোন ধরতে বাধ্য না। আমাকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ইউএনও আরও বলেন, “আমি প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর, প্রয়োজনে মালিককেও শাস্তি দিতে পারি।” তার এ মন্তব্যে উপস্থিত অনেকেই বিস্মিত হন।
ঘটনার সময় ইউএনও খবরপত্রের প্রতিনিধি এইচএম বাবলুকেও তিরস্কার করেন এবং পরে তার গাড়িচালক ও অফিস সহায়ক ওই সাংবাদিককে দেখা করে ‘সরি’ বলতে বলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, “আমার কাছে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইউএনওর এই বক্তব্য ও আচরণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ও সুধী মহলে ক্ষোভ ও সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে।
Leave a Reply