চীনের বহুল আলোচিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (BRI)-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি)। আঞ্চলিক অর্থনীতিকে গতিশীল করতে দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে বেইজিং। এবার সিপিইসিতে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরেক ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ আফগানিস্তান।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সিপিইসি প্রকল্পে আফগানিস্তানকে যুক্ত করার বিষয়ে একমত হয়েছে তিন দেশ।
বরিশালে বিএনপির ১২ শীর্ষ নেতার পদ আরও ছয় মাস স্থগিত
অনানুষ্ঠানিক এই বৈঠকে অংশ নেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। বৈঠকে কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসহাক দার জানান, পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তান আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে এটাই তার প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, যা ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই বৈঠকের মাধ্যমে তিন দেশের মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধুত্ব ও আঞ্চলিক সহযোগিতার অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পুনরায় তুলে ধরা হয়েছে।
বৈঠকের ধারাবাহিকতা হিসেবে আগামী ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, সিপিইসি প্রকল্পে তৃতীয় কোনো দেশের অংশগ্রহণের বিষয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এই প্রকল্প জম্মু ও কাশ্মীরসহ ভারতের সার্বভৌম ভূখণ্ড লঙ্ঘন করছে, যা দেশটির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
সিপিইসি হলো চীনের বৃহৎ পরিসরের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (BRI) একটি মুখ্য অংশ, যার লক্ষ্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে বাণিজ্যিক সংযোগ ও অবকাঠামো পুনর্গঠন।
Leave a Reply