প্রতিটি সপ্তাহের শুক্রবার মুসলমানদের জন্য শুধু ছুটির দিন নয়, বরং আত্মিক পরিশুদ্ধির, একতা ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের শ্রেষ্ঠ সুযোগ। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে জুম্মার দিন ও এর নামাজ বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ, যার ফজিলত কুরআন ও হাদীসে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে।
কুরআনের সূরা আল-জুমুআয় আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।” (সূরা আল-জুমুআ: ৯)
ইসলামের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জুম্মার নামাজকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি ভালোভাবে ওজু করে জুমার নামাজে যায়, মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে এবং নীরব থাকে, তার এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (সহীহ মুসলিম)
ফেসবুক শুধু সময় কাটানোর নয়,সঠিক ব্যবহারে আপনি হতে পারেন কোটিপতি!
বিশেষজ্ঞ আলেমদের মতে, জুমার নামাজ কেবল ধর্মীয় ইবাদত নয়, বরং এটি সামাজিক ঐক্য ও সচেতনতা বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। সপ্তাহে একদিন পুরো মুসলিম সমাজ একত্রিত হয়ে একই কাতারে দাঁড়ায়, শোনে খুতবা—যা হতে পারে সমাজ গঠনের অনুপ্রেরণা।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফিজ আব্দুল কাদের জানান, “জুমার দিন এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন বান্দা যদি আন্তরিক চিত্তে দুআ করে, আল্লাহ তাআলা তা অবশ্যই কবুল করেন। তাই মুসলমানদের উচিত এই দিনের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করা।”
বর্তমানে তরুণ মুসলিমদের মাঝে জুম্মার নামাজের গুরুত্ব নিয়ে বাড়ছে আগ্রহ। অনেকেই বন্ধুদের সঙ্গে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করছে, ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নিচ্ছে। এটি একটি আশাব্যঞ্জক পরিবর্তন।
জুম্মার নামাজ কেবল ফরজ ইবাদত নয়; বরং এটি জীবনের একটি অনন্য সুযোগ—আত্মশুদ্ধি, দুআ কবুলের সময় এবং মুসলিম সমাজের ঐক্যবদ্ধতার প্রকাশ। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত এই দিন ও নামাজকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে পালন করা।
Leave a Reply