২৮ মে তারিখে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “ছাত্রদল নেতার কোপে শ্রমিক নেতা হাসপাতালে ভর্তি” শীর্ষক যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলে দাবি করেছেন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নিহন্দ এলাকার বাসিন্দা শ্রাবণ আহামেদ জসিম।
এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানান, উক্ত প্রতিবেদনে তার নাম জড়িয়ে ঘটনাটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা একতরফা ও বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি দাবি করেন, ব্যক্তিগত বিরোধকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দ্বকে ‘রাজনৈতিক সংঘাত’ হিসেবে উপস্থাপন করে মূল ঘটনার অপব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
শ্রাবণ আহামেদ জসিম বলেন, “আমি বর্তমানে ছাত্রদলের কোনো সক্রিয় কমিটিতে নেই এবং কোনো সহিংস ঘটনায় জড়িত নই। যাকে প্রতিবেদনে ‘শ্রমিক নেতা’ বলা হয়েছে— মো. জসিম খান, তিনি একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। ঘাট ও বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ চাঁদা আদায় করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে আগেও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে এবং তিনি কারাভোগ করেছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, তার বালুর ব্যবসার গদিতে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছিলেন জসিম খান। চাঁদা না দেওয়ায় ২৩ ও ২৪ মে রাতে জসিম খানের লোকজন তার ব্যবসা এলাকা থেকে ৯০ হাজার ঘনফুট বালু অবৈধভাবে কেটে নিয়ে যায়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় তিনি শিবালয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রতিবাদপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযোগের পর ২৬ মে সন্ধ্যায় স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু ওই সময়েই জসিম খান ও তার অনুসারীরা তার গদিতে হামলা চালায়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে জসিম খান নিজেই আহত হন এবং ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রচার করে জসিম ও তার সহযোগীরা বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করান।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত আরও দুই ব্যক্তি— দাউদ ও পলাশ— জানিয়েছেন, তারা এ ঘটনার বিষয়ে অবগত নন এবং তাদের কোনো বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি। তারা বলেন, সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালা অনুসরণ না করায় সংবাদটি পাঠকের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
প্রতিবাদকারীরা সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন সংবেদনশীল ও বিচারাধীন বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ করে পেশাদারিত্ব বজায় রাখার জন্য। পাশাপাশি, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
Leave a Reply