সিলেটে টানা বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে নগরীসহ চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট, আবাসিক এলাকা, দোকানপাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তহশিল অফিসে খাজনার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ
শনিবার (৩১ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীতে ১৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজ ভবনের নিচতলার অফিস ও ক্লাসরুম পানিতে তলিয়ে গেছে, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, হাওয়াপাড়া, আখালিয়া, সুবিদবাজার, কাজলশাহ, চৌকিদেখী, পাঠানটুলা, মেজরটিলা, ইসলামপুর, শাহপরাণ গেট, আম্বরখানা, ইলেক্ট্রিসাপ্লাই এলাকা, সুরমাটী, কালিঘাট, কাস্টঘর, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। অনেক দোকানে পানি ঢুকে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বালতি দিয়ে পানি সরাতে ব্যস্ত। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে, তবে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কানাইঘাটের লোভাছড়া ও গোয়াইনঘাটের সারি-গোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলেট বিভাগজুড়ে ৫৮২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে শুকনো খাবার ও উদ্ধার সামগ্রী। গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটে পাহাড়ি ঢলে কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে, তবে কোথাও যান চলাচল বন্ধ হয়নি।
গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট উপজেলার বহু নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গিয়ে মানুষ ও গবাদিপশু পড়েছে চরম দুর্ভোগে। কোরবানির ঈদের আগে গবাদিপশু পালনকারীদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে পানি নামছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মেঘনায় ট্রলারডুবি:১ জনের মৃত্যু,পুলিশ সদস্যসহ নিখোঁজ ৪
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র, শুকনো খাবার ও জরুরি সেবা সব প্রস্তুত রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টি আরও দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
Leave a Reply