ইসরায়েলের ভূখণ্ড, বিশেষ করে দেশটির প্রধান বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। রোববার (১ জুন) ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশের পর সেটিকে ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
অপকর্ম ঢাকতে আ.লীগপন্থি সেই শিক্ষকের দৌড়ঝাঁপ
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত হওয়ার পর জেরুজালেমসহ একাধিক শহরে সাইরেন বাজিয়ে নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে মাঝ আকাশেই ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করা হয়। তবে এর ধ্বংসাবশেষ কোথায় পড়েছে এবং এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
এর আগেও হুথি বিদ্রোহীরা একাধিকবার ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হুথিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারও হুথিরা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। গাজায় যুদ্ধবিরতির সময় তারা সাময়িকভাবে হামলা বন্ধ রাখলেও ইসরায়েল নতুন করে অভিযান শুরু করায় আবার হামলা শুরু করেছে বলে দাবি তাদের।
হুথিদের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব হামলা ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সংহতির’ অংশ। মে মাসের শুরুতে হুথিদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের সীমানা প্রাচীরে আঘাত হানে। এতে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে।
হুথিদের হামলার পাল্টা জবাবে ইসরায়েলও ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানী সানা, বিমানবন্দর এবং কয়েকটি বন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়।
হরিরামপুর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক বিস্তারের এক অনন্য জনপদ
বিশ্লেষকদের মতে, ইয়েমেন থেকে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্র হুথিদের ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার প্রতিফলন। এতে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
Leave a Reply