ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ডাকাতদের গুলিতে আহত হয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের রেকারচালক তুহিন মিয়া।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটজুড়ে জলাবদ্ধতা,বন্যার আশঙ্কা
শুক্রবার (৩০ মে) রাত আড়াইটার দিকে মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রবাসী এক নারীর পরিবার মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যাচ্ছিল। পথে ডাকাত দলের সদস্যরা একটি হায়েস মাইক্রোবাস দিয়ে তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মালপত্র লুট করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ডাকাতদের ধাওয়া করার সময় তারা গুলি ছোড়ে। এতে গোড়াই হাইওয়ে থানার রেকারচালক তুহিন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। তাকে গুরুতর অবস্থায় কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডাকাতদের ব্যবহৃত হায়েস মাইক্রোবাস ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গাড়িটি বর্তমানে থানায় রয়েছে।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার জানান, তার ননদ বিউটি আক্তার জর্দান থেকে দেশে ফিরেছেন। বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী এলাকায় এসে তারা একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে রাত আড়াইটার দিকে পুষ্টকামুরী চরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ একটি হায়েস গাড়ি তাদের গতিরোধ করে। ৭-৮ জনের একটি ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে পাঁচ-ছয়টি মোবাইল ফোন, প্রায় ৭০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মালামাল লুট করে নেয়।
তিনি আরও জানান, ডাকাতদের কাছে পিস্তল, বন্দুক, হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকি, চাপাতি, ছুরি, লাঠি ও দা ছিল। যাত্রীরা চিৎকার করলে ডাকাতরা গুলি করার হুমকি দেয়। সুমাইয়ার অভিযোগ, ভাড়া করা মাইক্রোবাসের চালক মুস্তাকিন ও হেলপার জুয়েলের আচরণ সন্দেহজনক ছিল এবং তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
ঘুমন্ত শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা
রেকারচালক তুহিন মিয়া বলেন, ডাকাত দলের সদস্য সংখ্যা অন্তত ১০-১২ জন ছিল এবং তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়েছে। গুলিটি তার হাতে লাগে এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা বের করা হয়। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওসি রাসেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply