1. admin@muktangannews24.com : admin :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

এক অহংকারের ডুব ও এক নবীর ধৈর্যের জয়

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫
  • ৪৩ বার পঠিত

“আমি তোমাদের সর্বোচ্চ প্রভু!”—এই ছিল এক শাসকের দাবি। আর সেই দাবির চরম পরিণতি হলো চিরতরে ইতিহাসে ডুবে যাওয়া। ধর্মীয় ইতিহাসে এমন অহংকার ও বিনয়ের মুখোমুখি সংঘর্ষ বিরল নয়। তবে ফেরাউন ও নবী মুসার (আঃ) কাহিনি শুধু একটি ধর্মের নয়—তিনটি প্রধান আবরাহামিক ধর্মের গভীর এক মিলিত স্মৃতি।
ভাঙ্গুড়ায় ইমামকে কুপিয়ে হত্যা, অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
এক নদীর দুই তীর: ফেরাউন ও মুসা

মিশরের একসময়ের দখলদার ও শক্তিমান ফেরাউন ছিলেন এমন এক শাসক, যিনি নিজেকে ঈশ্বরের সমতুল্য ঘোষণা করেছিলেন। আর তার বিপরীতে ছিলেন মুসা (আঃ)—এক শান্ত, নির্ভীক বার্তাবাহক, যিনি ঈশ্বরের আদেশে দাসত্বে নিপতিত ইসরাইলি জাতিকে মুক্ত করতে উঠে দাঁড়ান।

মুসা (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে ফেরাউনের কাছে বারবার আহ্বান নিয়ে যান: “তোমার কওমকে মুক্ত করো।” তার হাতে আল্লাহর দেয়া নিদর্শন ছিল—লাঠি সাপে পরিণত হওয়া, আলো বিচ্ছুরিত হাত, এবং নানা দুর্যোগের আকারে আল্লাহর শাস্তি।

কিন্তু ফেরাউন ছিলেন একগুঁয়ে। তিনি তাৎক্ষণিক ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন। তিনি বলেছিলেন—“আমি ছাড়া আর কোনো প্রভু নেই!”

প্রলয়:দশটি গজব ও আকাশে ঈশ্বরের ক্রোধ

বাইবেল এবং তাওরাতে বর্ণিত আছে ফেরাউনের দেশ মিশরে ঈশ্বর দশটি ভয়ংকর গজব পাঠান। পানি রক্তে পরিণত হয়, ব্যাঙে প্লাবিত হয় শহর, মশা ও মাছির আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ে জনজীবন। শেষ গজবে ফেরাউনের নিজের সন্তানও মারা যায়। অথচ এতেও ফেরাউন নম্র হননি।

কুরআনের ভাষায়, ফেরাউন তার গোত্রসহ মুসা ও তাঁর অনুসারীদের ধাওয়া করতে গিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ে তলিয়ে যায়। আর মৃত্যুর সময় ঈমান আনার চেষ্টা করলেও, তখন তা অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেন আল্লাহ:

“এখন? অথচ পূর্বে তুমি অবিশ্বাস করেছিলে এবং ছিলে বিপর্যয় সৃষ্টি কারীদের একজন।” —(সূরা ইউনুস, আয়াত ৯১)

ত্রিমাত্রিক বার্তা:তিন ধর্ম,এক শিক্ষা

ইসলাম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইহুদি ধর্ম—তিন ধর্মেই ফেরাউন-মুসা কাহিনি একটি কেন্দ্রীয় বার্তা বহন করে: অহংকারের পতন ও ন্যায়ের জয়। ইসলামে এটি আল্লাহর একত্ববাদ এবং নবীর সত্যতার প্রমাণ। খ্রিষ্টধর্মে ঈশ্বরের শক্তি ও মুক্তিদানের প্রতীক। আর ইহুদি ধর্মে এটি জাতিগত মুক্তি ও পবিত্র চুক্তির যাত্রা।
পুঞ্জিলাল মেহেরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আজও ইহুদিরা পাসওভার উৎসব পালন করে ফেরাউনের পতনের স্মরণে। মুসলিমরাও এ কাহিনিকে শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করে: সত্য ও ধৈর্যের পথেই রয়েছে মুক্তি।

ইতিহাসের আয়নায় বার্তা

বর্তমান বিশ্বে যেখানে শক্তি, অহংকার ও দমনপীড়ন আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে, ফেরাউন ও মুসার কাহিনি যেন হয়ে ওঠে এক প্রাচীন অথচ প্রাসঙ্গিক বার্তা:

“একটি লাঠি, একটুকু বিশ্বাস—তাতেই বদলে যেতে পারে ইতিহাস।”

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

Archives

Jan0 Posts
Feb0 Posts
Mar0 Posts
Jul0 Posts
Aug0 Posts
Sep0 Posts
Oct0 Posts
Nov0 Posts
Dec0 Posts
Mar0 Posts
Apr0 Posts
May0 Posts
Jun0 Posts
Jul0 Posts
Aug0 Posts
Sep0 Posts
Oct0 Posts
Nov0 Posts
Dec0 Posts

Archives

Jan
Feb
Mar
Jul
Aug
Sep
Oct
Nov
Dec
Mar
Apr
May
Jun
Jul
Aug
Sep
Oct
Nov
Dec
All rights reserved © 2025
Design By Raytahost