ইরানের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠেছে ইসরায়েল। দেশটির বিভিন্ন শহরে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণগুলো এতটাই শক্তিশালী ছিল যে গোটা শহর কাঁপতে থাকে। রাজধানী তেলআবিবে এ হামলার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন এক ইসরায়েলি বাসিন্দা।
ইরানে ইসরায়েলের হামলা:কঠোর প্রতিক্রিয়ায় তুরস্ক ও সৌদি আরব
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলআবিবে একাধিক স্থানে বড় বিস্ফোরণের পর ইসরায়েলি দমকল বাহিনী আহত ও আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী ইসরায়েলি নাগরিক চেন গ্যাবিজন বলেন, “সতর্কতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দৌড়ে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনি। সবকিছু কাঁপছিল, চারপাশ ধোঁয়া ও ধুলোয় ঢেকে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কয়েক মিনিট দেরি হতো, আমরা কেউ হয়তো আর বেঁচে থাকতাম না।”
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। দেশজুড়ে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে বহু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে এই হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদি বাহিদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, “ইসরায়েলের দেড় শতাধিক স্থানে এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।”
তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু ছিল নেভাতিম ও ওভদা ঘাঁটি—যেখান থেকে ইসরায়েল ইরানে হামলার চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল। এছাড়াও তেলআবিবের কাছে অবস্থিত টেল নোফ ঘাঁটি, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, এবং একাধিক সামরিক ও শিল্প স্থাপনাও হামলার শিকার হয়েছে।
“সংবাদে বাঁধা ছুটি”
একাধিক পর্বে চালানো এই অভিযানে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, যা ব্যাপক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি বাহিনী।
ইরানি কমান্ডারদের ভাষ্য, এই হামলা ছিল ইরানের ভূখণ্ড, পারমাণবিক বিজ্ঞানী, এবং সেনা কমান্ডারদের ওপর আঘাতের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের জবাব।
Leave a Reply