চতুর্থ দিন শেষে মুখে প্রশান্তির হাসি, হৃদয়ে জয়ের স্বপ্ন—এই আবহেই সংবাদ সম্মেলনে এলেন বাংলাদেশের অফস্পিনার নাঈম হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা এই তরুণ স্পিনার জানালেন, গলের এই টেস্টে এখন বাংলাদেশের একমাত্র লক্ষ্য জয়।
ট্রাম্প-নেতানিয়াহুকে গুপ্তহত্যার চেষ্টার অভিযোগ ইসরায়েলের,উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য আরও অস্থিতিশীল
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সফরকারী বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান তুলে ১৮৭ রানের লিড নিয়েছে। পঞ্চম দিনে আরও কিছু রান যোগ করে লঙ্কানদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে চায় টাইগাররা।
আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে নাঈম বলেন,
“আলহামদুলিল্লাহ্, খুব ভালো লাগছে। আল্লাহ আমাকে একটা সুযোগ দিয়েছেন, আমি সেটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।”
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে কিভাবে সফল হলেন—এ প্রশ্নে নাঈম জানান, পরিকল্পনামাফিক বোলিং করাই ছিলো সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
“একটা জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল করার চেষ্টা করেছি। রান না এলে ব্যাটার চাপে পড়ে ভুল করবে—এই ভাবনা থেকেই বল করেছি,” বলেন তিনি।
ম্যাচের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নাঈম বলেন,
“ম্যাচটি এখন আমাদের পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে। ইনশাআল্লাহ্ কালকে আমরা সেটির পূর্ণ বাস্তবায়ন মাঠে দেখাতে পারবো।”
পিচের অবস্থা নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ,
“চতুর্থ দিনেও উইকেট বেশ ভালো ছিলো, তবে শেষ দিনে কী হবে বলা কঠিন। কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিচ্ছে, সেসব জায়গা থেকে সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করবো। যত বড় লিড নিতে পারি, ওদের ওপর ততটাই চাপ তৈরি হবে।”
ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে ওঠা-পড়ার প্রসঙ্গে নাঈম বলেন,
“আনলাকি বলে কিছু নেই, যার যা রিজিক আল্লাহ দিয়েছেন। সবাই একই রকম ক্যারিয়ার পায় না। আমি আমার অবস্থানে খুশি, আলহামদুলিল্লাহ্।”
দলের ব্যাটারদের প্রশংসা করে নাঈম বলেন,
“মাঝে যারা ব্যাট করছে, তারাই ভালো বুঝবে কেমন ব্যাটিং করা যাচ্ছে। শাদমান ভাই, শান্ত ভাই আর মুশফিক ভাই—তিনজনই অসাধারণ খেলছেন।”
জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট জবাব দেন,
“হ্যাঁ, অবশ্যই সম্ভব। পঞ্চম দিনে অনেক কিছু ঘটে। আমরা যদি ওদের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারি, তাহলে ওরা চাপে পড়বে। স্বাভাবিক খেলা এক জিনিস, প্রেসারে খেলা ভিন্ন জিনিস।”
খালেদা জিয়ার সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
শেষে বোলিং কৌশল নিয়ে বলেন,
“আমি প্রতিটি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে আলাদা পরিকল্পনায় বল করেছি। সিম পজিশন ও ভ্যারিয়েশনেও মনোযোগ দিয়েছি। চেষ্টা ছিল ভালো জায়গায় বল করে যাওয়া, আর মাঝে মাঝে বল বদলে দেখে নেওয়া কোনটি কাজ করে।”
গলে টেস্ট ম্যাচের পরিণতি এখনও নির্ধারিত নয়। তবে নাঈম হাসান ও বাংলাদেশ দলের চোখে যে কেবল একটিই লক্ষ্য—জয়, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলের বার্তায়।
Leave a Reply