জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে মহান এই সংগ্রামী নারীকে
আজ ২৬ জুন, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৪ সালের এই দিনে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে আজীবন সংগ্রাম করে যাওয়া এই অকুতোভয় নারীর অবদান আজও জাতির অন্তরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়।
শিল্পকলা একাডেমিতে মৃৎশিল্প কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন
জাহানারা ইমাম ছিলেন কেবল একজন লেখিকা বা শিক্ষিকা নন, ছিলেন এক সাহসিনী আন্দোলনের প্রতীক। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তার একমাত্র পুত্র শাফি ইমাম রুমী শহীদ হন। ব্যক্তিগত শোককে জাতীয় চেতনায় রূপান্তরিত করে তিনি হয়ে ওঠেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেশের আপামর জনগণের কণ্ঠস্বর।
তার রচিত আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি অমূল্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৯২ সালে তার নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’, যা এখনও তার দেখানো পথ অনুসরণ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে কাজ করে যাচ্ছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় এই মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল ঘাঁটেন?হতে পারে মারাত্মক বিপদ!
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জীবন আমাদের কাছে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও মানবতার চিরন্তন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
Leave a Reply