কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা:
ভারত, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশ এখন ‘গঠনমূলক নিরপেক্ষতা’র কৌশল অনুসরণ করছে। এতে অঞ্চলীয় উত্তেজনার মধ্যেও সংলাপ ও সহযোগিতার পথ খোলা রাখার চেষ্টা রয়েছে।
সামরিক সক্ষমতা উন্নয়ন:
নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও স্থলবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছে। ভবিষ্যতের যেকোনো হুমকির জবাবে প্রস্তুত থাকতে চলছে সামরিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম আধুনিকায়ন।
আদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি: অনুসন্ধানে দুদক
সীমিত সংঘর্ষের আশঙ্কা:
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সম্ভাবনা আপাতত কম হলেও সীমিত সংঘর্ষের ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। সীমান্তে রকেট হামলা, বিমান প্রতিরক্ষা সক্রিয়করণ ও সামরিক মহড়ার ঘটনা যুদ্ধ-পরিস্থিতির ইঙ্গিত বহন করছে। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সংঘর্ষ শুধু তাদেরই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ভয়াবহ মানবিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
এ প্রেক্ষাপটে চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতা যেমন ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে চাপে ফেলছে, তেমনি বাংলাদেশের জন্যও এক জটিল কৌশলগত বাস্তবতা তৈরি করছে। এখানে ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে আত্মঘাতী।
বাংলাদেশের করণীয়:
বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও সমন্বিত প্রস্তুতি। এটি কেবল সামরিক নয়, কূটনৈতিক সংলাপ, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনসচেতনতার ক্ষেত্রেও জরুরি। যুদ্ধ কেউ চায় না, কিন্তু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা—এটাই আজকের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা।
Leave a Reply