কাতার বিশ্বকাপে রোমাঞ্চকর ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে আর্জেন্টিনা। সেই সঙ্গে চিরতরে শেষ হয় লিওনেল মেসির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে চলা বিতর্ক। এতদিন ‘সর্বকালের সেরা’ ফুটবলার হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দিতে অনেকেই কুণ্ঠাবোধ করতেন, কারণ তার ট্রফিকেসে ছিল না ফুটবলের সর্বোচ্চ অর্জন—বিশ্বকাপ।
২০২২ সালে লুসাইল স্টেডিয়ামে সেই অপূর্ণতা ঘোচান এলএমটেন। বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নিয়ে সোনার কাপে চুমু দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ও সবচেয়ে বড় বাধাটিও অতিক্রম করেন তিনি। এরপর থেকেই মেসিকে ফুটবলের সর্বকালের সেরা হিসেবে মানতে আর আপত্তি রাখেননি সমর্থকেরা।
১৯৮৬ সালে দিয়েগো ম্যারাডোনা একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে যেভাবে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন, ২০২২ সালে মেসিও দেখিয়েছেন ঠিক তেমনই নেতৃত্ব। ম্যারাডোনা সে আসরে ৫ গোল ও ৫ অ্যাসিস্টে দশ গোলে সরাসরি জড়িত ছিলেন। ছত্রিশ বছর পর মেসিও দশ গোলে অবদান রাখেন—৭ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট। এর পুরস্কারস্বরূপ রেকর্ড দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জেতেন তিনি।
মেসির বিশ্বকাপ জয়ের পর ‘গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ বিতর্ক প্রায় আনুষ্ঠানিকভাবেই নিষ্পত্তি পায়। কোটি কোটি দর্শকের স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবার আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান ফেডারেশন (আইএফএফএইচএস) মেসিকে ‘সর্বকালের সেরা’ ফুটবলারের স্বীকৃতি দিয়েছে।
রোববার (১৮ মে) সংস্থাটি সর্বকালের সেরা ১০ ফুটবলারের একটি র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। যেখানে শীর্ষে স্থান পেয়েছেন লিওনেল মেসি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে ও আর্জেন্টিনার ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনা।
Leave a Reply