ডাটা সেন্টারের ক্রমবর্ধমান কাজের চাপে বাড়ছে বিদ্যুৎ খরচ। এসব কেন্দ্রে সার্ভারগুলো থেকে উৎপন্ন অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে প্রায় ৪০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এই খরচ দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।
বিএসএফের পুশইন নারী-শিশুসহ ২৫ বাংলাদেশি আটক
এই সংকট থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা উদ্ভাবন করেছেন এমন এক অভিনব কুলিং প্রযুক্তি, যা বিদ্যুৎ ছাড়াই তাপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। মানুষের ঘাম ঝরার প্রক্রিয়া থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রযুক্তিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যাসিভ কুলিং’।
এই প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়েছে এক ধরনের পাতলা ফাইবারযুক্ত ঝিল্লি। এতে থাকা অসংখ্য সূক্ষ্ম ছিদ্র দিয়ে ঠাণ্ডা তরল ধীরে ধীরে বাষ্প হয়ে তাপ অপসারণ করে, ফলে বাড়তি বিদ্যুৎ খরচের প্রয়োজন পড়ে না।
গবেষকদের দাবি, এই পদ্ধতি প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে ৮০০ ওয়াটেরও বেশি তাপ অপসারণ করতে পারে—প্যাসিভ কুলিং প্রযুক্তির ইতিহাসে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
প্রযুক্তির উদ্ভাবক, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ও অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রেনকুন চেন বলেন, “এটি প্রচলিত বায়ু বা তরলভিত্তিক কুলিংয়ের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর এবং অনেক কম শক্তি ব্যয় করে।”
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেলো যুবকের
গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর বর্তমানে এই প্রযুক্তিকে বাজারজাত করার লক্ষ্যে একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি চলছে। তাদের লক্ষ্য, বিশ্বব্যাপী ডাটা সেন্টার ও শক্তিশালী কম্পিউটার সিস্টেমগুলোকে আরও সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে ঠাণ্ডা রাখা।
Leave a Reply