নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও উঁচু ঢেউয়ের তোড়ে ৩৯ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
জুন মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে সরকার
এ ঘটনায় গিয়াস উদ্দিন (ভাসানচর ডাক বিভাগে কর্মরত) নামের এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও সাইফুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া যাত্রী জিয়াউল হক জানান, ঈদের ছুটিতে তারা ভাসানচর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ট্রলারের নিচের অংশে ফাটল দেখা দিলে পানি ঢুকে পড়ে এবং হঠাৎই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় অনেকেই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পাশের একটি মাছ ধরার ট্রলারে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেন।
নৌদুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে চারজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন—ফারহানা বিনতে মমিন, ইসমত আরা, মো. তারেক ও ফাতেমা খাতুন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাতিয়ার নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ চন্দ্র সাহা।
জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে চার পুলিশ সদস্য, এক রোহিঙ্গা রোগী, এক আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মীসহ মোট ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের আলীবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। যাত্রাপথে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের কাছে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
তহশিল অফিসে খাজনার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবেছে। এরমধ্যে পুলিশ সদস্যসহ ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
Leave a Reply