চলতি বোরো মৌসুমে ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় বর্ষা শুরুর আগেই মাঠের পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। একযোগে মাঠের অধিকাংশ ধান পেকে যাওয়ায় শুরু হয়েছে ধান কাটার তোড়জোড়। তবে এতে দেখা দিয়েছে তীব্র শ্রমিক সংকট।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বর্তমানে প্রায় ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। আবহাওয়া ধান কাটার জন্য অনুকূল থাকলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক না মেলায় অনেকেই সময়মতো ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। বৈশাখী ঝড় ও টানা বৃষ্টির আগেই ধান ঘরে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা।
রাজধানীতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান:ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিসহ গ্রেপ্তার ৩৭
শ্রমিক সংকটে শ্রমমূল্য বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। কয়েক দিন আগেও একজন শ্রমিকের মজুরি ছিল ৭০০-৮০০ টাকা, সেখানে এখন তা দাঁড়িয়েছে ১,৩০০ থেকে ১,৪০০ টাকা, সঙ্গে থাকছে দুই বেলা খাবার ও চা-নাস্তা। অথচ প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৯৫০ থেকে ১,০০০ টাকায়, ফলে লাভ তো দূরের কথা, লোকসানের মুখে পড়ছেন কৃষকরা।
পরশুরামের কৃষক আব্দুস সোবাহান বলেন, “অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানে লোকসান বেশি হবে।” কৃষক আবদুল খালেক জানান, “ধান পাকলেও শ্রমিক না পাওয়ায় কাটতে পারছি না। ৪০ শতক জমির ধান ঘরে তুলতেই এখন খরচ হচ্ছে প্রায় ৬ হাজার টাকা।”
চলতি মৌসুমে সার, বীজ, সেচসহ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ৪০ শতক জমির ধান চাষে খরচ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২২-২৩ হাজার টাকা। যদিও ফলন ভালো হয়েছে, তবে উৎপাদন খরচ এবং শ্রমিক সংকটে চাষিরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কালবেলা জানান, এ বছর উপজেলার ৪,২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এবং ফলন আশানুরূপ হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।” তবে শ্রমিক সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একযোগে ধান পাকায় শ্রমিকের চাহিদা বেড়েছে। পরিস্থিতি সাময়িক, দ্রুতই এ সংকট কেটে যাবে।
Leave a Reply