স্বাস্থ্য শুধু রোগমুক্ত থাকাই নয়, এটি একটি পূর্ণ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক কল্যাণের অবস্থা। তাই সুস্বাস্থ্য কোনো বিলাসিতা নয়, এটি মানুষের মৌলিক অধিকার। বর্তমান বিশ্বে উন্নয়ন সূচকের অন্যতম প্রধান মানদণ্ড হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, আর এ অধিকার বাস্তবায়নে প্রয়োজন ব্যক্তি সচেতনতা, সামাজিক সহযোগিতা ও রাষ্ট্রের কার্যকর ভূমিকা।
সুস্বাস্থ্যের অধিকার বলতে বোঝায় — মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিকর খাদ্য, নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার অধিকার। জাতিসংঘের সাধারণ মানবাধিকার ঘোষণাপত্র এবং বাংলাদেশের সংবিধান এই অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য করণীয়:
১. ব্যক্তিগত সচেতনতা ও অভ্যাস:
সঠিক খাদ্যাভ্যাস (পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ)
নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম
মাদক ও ধূমপান থেকে বিরত থাকা
মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ
পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন বজায় রাখা
২. সামাজিক উদ্যোগ:
স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
স্কুল ও কর্মস্থলে স্বাস্থ্যশিক্ষা কার্যক্রম
সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা
৩. রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব:
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা
হাসপাতালের সংখ্যা ও মান উন্নয়ন
পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ
পরিবেশবান্ধব নীতি প্রণয়ন
জনস্বাস্থ্য গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি
অনেক সময়ই আর্থিক অস্বচ্ছলতা, চিকিৎসা অব্যবস্থা, দুর্নীতি, স্বাস্থ্যসেবার অভাব ও গণসচেতনতার ঘাটতি সুস্বাস্থ্যের অধিকার অর্জনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিনে কোরআনের শ্রেষ্ঠ বারতা
সুস্বাস্থ্যের অধিকার রক্ষা কেবল একটি নীতিগত প্রতিশ্রুতি নয়, এটি একটি সম্মিলিত প্রয়াসের ফল। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র একসাথে কাজ করলে সুস্থ, সচেতন ও শক্তিশালী জাতি গঠন সম্ভব।
Leave a Reply