প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে নিজেকে অপরাধী মনে করবো। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি, নিশ্চিত থাকুন—দেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ হবে না।”
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা প্রধান উপদেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছেন। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিন বিষয়ে যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তার প্রতি তারা পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার,বিদেশের মাটিতে স্থায়ী সেনা মোতায়েন করল জার্মানি
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশি-বিদেশি নানা মহল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। বিভাজন কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, সবাইকে একসঙ্গে বসাতে পেরে তিনি সাহস পেয়েছেন এবং এই সংলাপই দেশের অগ্রগতির পথ দেখাবে।
নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা পরিষ্কারভাবে বলেছেন—নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা ৩০ জুনের পর আর গড়াবে না। এ বিষয়ে উপস্থিত সব দলের সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রেস সচিব আরও বলেন, “আমাদের তিনটি বড় অগ্রাধিকার—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সংস্কার কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে, নির্বাচন নিয়ে মানুষের আস্থা বাড়বে।”
উল্লেখ্য, শনিবার (২৪ মে) রাতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি’র নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
Leave a Reply