বাংলাদেশ ব্যাংকে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে চাকরি করার অভিযোগে এক ব্যক্তির নিয়োগপত্র বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে আরেক কর্মকর্তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “প্রতারক ওয়ারেস আনসারীর নিয়োগ ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি তার কাজে সহযোগিতার সন্দেহে মো. শাহজাহান মিয়াকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”
এই ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ নাটক‘চুপকথা’ও ‘মন মঞ্জিল’
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বরখাস্ত হওয়া শাহজাহান মিয়া নিয়োগ শাখায় কর্মরত ছিলেন এবং তিনি ও প্রতারক আনসারী আত্মীয়। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৃত মো. আবদুল ওয়ারেশ আনসারী বলেন, “২৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হলে আমি প্রথমবারের মতো জানতে পারি, কেউ আমার নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করেছেন।”
তিনি জানান, “আমি কখনও বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করিনি। বিসিএসে যোগদানের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগপত্র পাওয়ার বিষয়টি আমলে নেইনি। সম্ভবত ২০১৩ সালের মার্চে আমি ওই নিয়োগপত্র পেয়েছিলাম, কিন্তু যোগদান করিনি। আজ জেনে অবাক হয়েছি, কেউ আমার দেওয়া পরীক্ষার তথ্য ও নিয়োগপত্র ব্যবহার করে চাকরি করেছে। এটা একটি বড় ধরনের প্রতারণা। এতদিন ধরে বিষয়টি ধরা না পড়ায় বিস্মিত হয়েছি।”
বিসিবিতে বড় পরিবর্তনের আভাস, নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বুলবুলকে
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রতারণার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত শাহজাহান মিয়াকে ২৮ মে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর ওয়ারেস আনসারী নাম ব্যবহারকারী ভুয়া কর্মকর্তা ২৭ মে পর্যন্ত চাকরিতে ছিলেন। এর পরদিনই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এ বিষয়ে প্রতারক আনসারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। শাহজাহান মিয়াও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Leave a Reply