জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে দেরিতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর অভিযোগে রোববার রাতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। জানা গেছে, ৫১তম ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসাইন (২৪) রবিবার সকালে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
ইরানে মার্কিন হামলার পর আইএইএর জরুরি বৈঠক
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার জোবায়ের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্স চান। তবে সেসময় কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট বা বাইরে রয়েছে, তাই তাৎক্ষণিকভাবে পাঠানো সম্ভব নয়। প্রায় চার ঘণ্টা পর তিনি অ্যাম্বুলেন্স পান। পরে রোববার ভোররাতে তাঁর পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, “ক্যাম্পাসে সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় একের পর এক শিক্ষার্থী মারা যাচ্ছেন। বছরের পর বছর মেডিকেল সেন্টার সংস্কারের দাবি জানালেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা মো. শামছুর রহমান বলেন, “জোবায়েরের অসুস্থতা সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম। তিনি যখনই অ্যাম্বুলেন্স চান, তখনই দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে শনিবার যে সময় তিনি অ্যাম্বুলেন্স চান, সে সময় সবকটি সচল অ্যাম্বুলেন্স বাইরে ছিল। ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়।”
জোবায়ের হোসাইনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “জোবায়েরের অকালমৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারাল। তাঁর পরিবারের এ ক্ষতি অপূরণীয়।” তিনি জোবায়েরের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ, উচ্চকক্ষ ও এনসিসি—‘একই প্যাকেজে’ আলোচনা চায় বিএনপি
এ ছাড়া জোবায়েরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
Leave a Reply