স্মার্টফোনের আগমনের পর অনেকের দিন শুরু হয় মোবাইলের অ্যালার্ম বন্ধ করা দিয়ে। এরপর একের পর এক ভেসে আসে নোটিফিকেশন—আর সেখানেই আটকে যাই আমরা। ঘুম ভাঙার পর প্রায় ২০-৩০ মিনিট কেটে যায় স্ক্রিনের সামনে, তারপর শুরু হয় দিনের কাজ।
আইনের মারপ্যাঁচে পুঁজিবাজারের অবস্থান
এই অভ্যাস সাময়িক স্বস্তি দিলেও শরীর ও মনের উপর ফেলতে পারে ভয়ানক প্রভাব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল ঘাঁটা আপনার শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে।
কী কী হতে পারে ক্ষতি?
✅ স্ট্রেস বেড়ে যায়: ঘুম ভাঙার পরপরই মোবাইল স্ক্রিন দেখলে মানসিক চাপ প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে।
✅ মেটাবলিজম কমে যায়: মোবাইলের বিকিরিত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড (EMF) সকালে আপনার বিপাকক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে, ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।
✅ চোখে চাপ পড়ে: উজ্জ্বল স্ক্রিনের আলোয় সকালে চোখে অস্বস্তি, মাথাব্যথা, এমনকি ফোলাভাব পর্যন্ত হতে পারে।
✅ দিনভর মনঃসংযোগে ব্যাঘাত: সকালের শুরু যদি হয় অসংখ্য তথ্য ও নোটিফিকেশন দিয়ে, তাহলে সারা দিনের ফোকাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
করণীয় কী?
সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তত ৩০ মিনিট মোবাইল থেকে দূরে থাকুন। তার বদলে হালকা এক্সারসাইজ, ধ্যান বা কিছুক্ষণ বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
নিজের শরীর ও মনকে দিনটিকে ভালোভাবে শুরু করার সুযোগ দিন—মোবাইল দিয়ে নয়, নিজের সজাগ মন দিয়ে।
Leave a Reply