গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
রোববার (২৯ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১–এ মামলাগুলো দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক জানায়, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে সাদ মুসা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেডের নামে দুটি ভুয়া ঋণ অনুমোদন করা হয়। আসামিরা প্রভাব খাটিয়ে জাল কাগজপত্র ও জামানতের কৌশলে ঋণ গ্রহণ করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
দুটি মামলায় যথাক্রমে ২৯ কোটি ১৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা এবং ২০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—ভারতে পলাতক গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ভাই ও ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।
এছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—ঋণগ্রহীতা সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ মোহসিন, তার স্ত্রী ও কটন মিলসের চেয়ারম্যান শামীমা নারগিস চৌধুরী, ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, সাবেক পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ, ড. মোহাম্মদ ফারুক, আরিফ আহমেদ, মায়মুনা খানম, সরোয়ার জাহান মালেক, শাহানা ফেরদৌস, সাজেদা নূর বেগম, মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা ও এস এ এম সলিমউল্লাহ।
ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যায় না পড়ার আশাবাদ এনবিআর চেয়ারম্যানের
এছাড়াও আসামিদের তালিকায় আছেন—ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার, সাবেক এসভিপি অ্যান্ড হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মশিউর রহমান জাহেদ, ব্যবস্থাপক মো. শামসুল আলম, মুন্নিশ্রী চক্রবর্তী, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হাসান আলী, জুনিয়র অফিসার রিফাত ইফতেখারুল আলম, মো. মিজানুর রহমান এবং নিগার সুলতানা।
দুদক বলছে, তদন্ত শেষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply