আজ বুধবার বেইজিংয়ে আয়োজিত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে সভাপতিত্ব করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ সৈন্যদল প্রদর্শনের মাধ্যমে চীন যেন বিশ্বকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল—তাদের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
https://mascarapersonality.com/perhhxsm?key=2dca62faf602ce660bc6592a630b519b
বৈশ্বিক বার্তার দিক থেকে তাৎপর্য
কুচকাওয়াজের আনুষ্ঠানিক দিক যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়েও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল রাজনৈতিক বার্তা। সি চিন পিংয়ের পাশে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন, ইরান ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃত্ব। এ নেতাদের মিলিত উপস্থিতি ইঙ্গিত করে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার বিকল্প কোনো শক্তি তৈরি হচ্ছে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য মানতে অনিচ্ছুক।
https://mascarapersonality.com/perhhxsm?key=2dca62faf602ce660bc6592a630b519b
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
এ আয়োজনটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। প্রতীকীভাবে ৮০ বার কামানের গোলা ছোড়া হয়। জাতীয় পতাকা হাতে সেনাদের কুচকাওয়াজ, আকাশে ৮০ হাজার কবুতর ও সমান সংখ্যক বেলুন ছেড়ে দেওয়া—সবকিছু মিলিয়ে এক শক্তিশালী ঐতিহাসিক স্মারক এবং জাতীয়তাবাদী আবহ তৈরি করে।
https://mascarapersonality.com/perhhxsm?key=2dca62faf602ce660bc6592a630b519b
সম্ভাব্য বার্তা ও প্রভাব
চীনের এই সামরিক প্রদর্শনী কেবল দেশীয় জনগণকে উদ্দীপ্ত করতেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এক ধরনের কূটনৈতিক সংকেত। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের উদ্দেশে এটি এক সতর্কবার্তা: চীন নিজেকে শুধু অর্থনৈতিক শক্তি নয়, বরং সামরিকভাবেও সমান ক্ষমতাশালী এক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অন্যদিকে, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও পাকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে দৃশ্যমান ঐক্য এশিয়া-কেন্দ্রিক নতুন এক জোটবদ্ধতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Leave a Reply