আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা, আঞ্চলিক সংঘাত এবং কাঠামোগত সংস্কারে ধীরগতির কারণে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার (MENA) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২৫ ও ২০২৬ সালে পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক কম হবে।
আইএমএফ-এর আঞ্চলিক প্রতিবেদন অনুযায়ী,
২০২৫ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৬ শতাংশ করা হয়েছে।২০২৬ সালের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ৪.২ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ৩.৪ শতাংশে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক শুল্ক যুদ্ধ, ধীর তেল উৎপাদন পুনরুদ্ধার এবং চলমান সংঘাত এই হ্রাসের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। যদিও মার্কিন শুল্কনীতির সরাসরি প্রভাব এ অঞ্চলে পড়বে না, তবুও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ, আর্থিক বাজার এবং তেলের দামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
২০২৪ সালে এই অঞ্চলের গড় প্রবৃদ্ধি ১.৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ২.১ শতাংশ। এই পতনের জন্য প্রধানত সংঘাত এবং তেল উৎপাদনে স্বেচ্ছা হ্রাস দায়ী।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো:
২০২৫ সালের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস এখানে ১.৭ শতাংশ পয়েন্ট কমানো হয়েছে।
ধনী উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশে থাকবে।
ইরাকে প্রত্যাশিত হ্রাস হবে ১.৫ শতাংশ।
সংকটাপন্ন দেশগুলো:
সুদান, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত হতাশাজনক। ২০২১ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গেছে, এবং তা ভবিষ্যতেও আরও কমতে পারে।
লেবানন ও সিরিয়া:
এই দেশগুলোর জন্য পৃথক পূর্বাভাস না দিলেও আইএমএফ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুনর্গঠন সম্ভব।
আইএমএফ-এর মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া বিভাগের পরিচালক জিহাদ আজউর বলেন,
“উপসাগরীয় দেশগুলো সহায়তায় আগ্রহী, তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে বিশ্বাস অর্জনের জন্য নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
Leave a Reply