আজ আন্তর্জাতিক মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এমএসএমই) দিবস। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই খাতের ভূমিকা যেখানে অপরিহার্য, বাংলাদেশেও তা সমানভাবে প্রযোজ্য। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর মেরুদণ্ড হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে এই খাত। প্রায় আড়াই কোটি মানুষ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে যুক্ত—এই পরিসংখ্যান শুধু একটি খাতের বিশালতা নয়, বরং দেশের স্বনির্ভরতার প্রামাণ্য দলিল।
ঘিওরে ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় আসামি গ্রেফতার
চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক টানাপড়েন, বৈষম্যের বেড়াজাল এবং করোনা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার পর্বে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে এমএসএমই খাত হয়ে উঠেছে এক ধরনের রক্ষাকবচ। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন এবং প্রান্তিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এ খাতের সম্ভাবনা অপরিসীম।
এসএমই ফাউন্ডেশন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে যেভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে, তা উৎসাহব্যঞ্জক। তবে শুধু দিবস পালনে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পরিকল্পনা। সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তির ব্যবস্থা, ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি, কর-সহযোগিতা, বাজার সংযোগ ও প্রশিক্ষণ-সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে আরও কার্যকরভাবে।
এমএসএমই উদ্যোক্তারা যাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে মর্যাদাসম্পন্ন গ্রাহক হিসেবে বিবেচিত হন, তার জন্য নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অত্যাবশ্যক। একই সঙ্গে নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ বাস্তবায়ন জরুরি।
প্রধানত শহরকেন্দ্রিক শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রবাহের বাইরে গিয়ে গ্রাম ও উপজেলাভিত্তিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে অংশীদারিত্ব ভিত্তিক সহযোগিতা গড়ে তোলা জরুরি।
বাংলাদেশে ভক্তি ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা
বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনীতির স্বপ্ন বাস্তবায়নে এমএসএমই খাত আমাদের অন্যতম প্রধান আশ্রয়স্থল হতে পারে—যদি আমরা এই খাতের প্রতি মনোযোগ ও বিনিয়োগ যথাযথভাবে বাড়াতে পারি। আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবসে তাই আমাদের অঙ্গীকার হোক—”ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বড় শক্তি, তাদের হাত ধরেই বদলাবে বাংলাদেশ।”
Leave a Reply