ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গোমতা থেকে আদর্শ সদর উপজেলার সৈয়দপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) শেষ রাতের দিকে চান্দিনার নূরিতলা এলাকায় ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান উল্টে গিয়ে সড়কের ওপর পড়ে যায়। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেকারের সাহায্যে দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ডভ্যান সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। তবে ব্যবহৃত রেকারটির ওজন ধারণক্ষমতা কম থাকায় সরাতে দেরি হয়। পরবর্তীতে ফেনী থেকে আরও একটি রেকার এনে কাভার্ডভ্যানটি অপসারণ করা হয়।
এ সময় কিছু চালক উল্টো পথে গাড়ি চালাতে শুরু করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে এবং যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। সকাল ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল ধীরগতিতে চলছিল।
জানা গেছে, কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজা দিয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করেন। একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক যানবাহন টোল প্লাজা অতিক্রম করতে গিয়ে সেখানে নিয়মিত যানজট সৃষ্টি হয়।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী এশিয়া পরিবহনের বাসচালক সামছুল ইসলাম বলেন, “সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কুমিল্লা থেকে রওনা দিয়েছি। সৈয়দপুর এলাকায় এসে যানজটে পড়েছি। এক ঘণ্টার পথ এখন তিন ঘণ্টাতেও পার হতে পারছি না।”
ঢাকাগামী কাভার্ডভ্যান চালক দিদার হোসেন ও দাউদকান্দিগামী পাপিয়া পরিবহনের চালক আলমগীরও একই ধরনের দুর্ভোগের কথা জানান।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কাভার্ডভ্যানটি উল্টে আছে। প্রথমে স্থানীয় রেকার দিয়ে সরানোর চেষ্টা করি, কিন্তু তা যথেষ্ট না হওয়ায় ফেনী থেকে রেকার এনে গাড়িটি অপসারণ করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।”
Leave a Reply