বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এপ্রিল মাস নির্বাচনের জন্য অনুপযুক্ত। রোজা, গরম আবহাওয়া ও পাবলিক পরীক্ষার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল।
ঈদের ছায়ায় দীর্ঘশ্বাস
শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “সরকার ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই। এটি চিন্তাভাবনা করে করা হয়নি। এপ্রিল মাস নির্বাচনের জন্য কোনোভাবেই উপযুক্ত নয়। ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব হলে, সেটিই জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে।”
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিয়ে তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
দেশের শান্তি ও মঙ্গলের জন্য দোয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনূসের
এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি জানিয়েছে, এই রোডম্যাপ নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রতিফলন নয়।
শুক্রবার (৬ জুন) রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা দাবি করলেও একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রভাবেই তারা সিংহভাগ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করেছে। এতে জনগণের মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক।”
লড়াই করে পাওয়া একটি অধিকার
এর আগে, রাত ৯টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম—জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
Leave a Reply