প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আজ সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিশেষ আবাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘর বিতরণ করেছেন।
২০২৪ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় ভয়াবহ বন্যায় বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত তিনশটি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উপকারভোগী নির্বাচনে পরিবারের আর্থিক অবস্থা, ঘর নির্মাণে সামর্থ্য, ঘরের ক্ষয়ক্ষতির ধরনসহ স্থানীয় অগ্রাধিকার বিবেচনায় নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির যৌথ জরিপে তালিকা চূড়ান্ত হয়।
বিতরণকৃত ঘরগুলোর মধ্যে ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি এবং চট্টগ্রামে ৩০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহায়তায় দুটি নকশায় ঘর নির্মাণ করা হয়—যার আয়তন যথাক্রমে ৪৯২ ও ৫০০ বর্গফুট, এবং খরচ প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা। প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুইটি কক্ষ, টয়লেট, রান্নাঘর ও বারান্দা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, যার মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯৮টি ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভূমি জটিলতায় বাকি দুটি ঘর শিগগিরই নির্মাণ হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এটি একটি ছোট প্রকল্প হলেও এর সফল বাস্তবায়ন ভবিষ্যতের বড় কাজের জন্য আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।” তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, এবং সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান বক্তব্য রাখেন। ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের চারজন উপকারভোগী তাদের অভিব্যক্তিও প্রকাশ করেন।
Leave a Reply