বাংলাদেশের বাজারে ইতোমধ্যে উঠতে শুরু করেছে গাছপাকা, রসালো আম। রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সুপরিচিত আম এখন পৌঁছে গেছে মানুষের হাতের নাগালে। রং, ঘ্রাণ ও স্বাদের জন্য বিখ্যাত এই ফলটি শুধু জিভের স্বাদই মেটায় না, শরীরের জন্যও বয়ে আনে নানা উপকার।
ডেঙ্গুতে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা,একদিনেই ৩৫২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল। তবে যেকোনো কিছুর মতোই, আমও খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত খেলে যেমন রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে, তেমনি পরিমিত খেলে এটি হতে পারে স্বাস্থ্যরক্ষার একটি শক্তিশালী সহায়ক।
আমের পুষ্টিগুণ কী?
খোসা ও আঁটি ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম আমে থাকে:
৬৫-৭৫ ক্যালরি
১৭ গ্রাম শর্করা
১৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
১.৫ মিলিগ্রাম লৌহ
২২০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি ভিটামিন-এ
১০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম
১৬০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম
প্রায় ১২ মিলিগ্রাম লাইকোপেন—যা এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
এই উপাদানগুলো দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে, হাড় শক্ত রাখতে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
অনেকেই ওজন ও ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কিন্তু তুলনামূলক বিশ্লেষণ বলছে, ১০০ গ্রাম সাদা ভাতে থাকে প্রায় ১২৫ ক্যালরি ও ২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। অন্যদিকে আমে শর্করা কম, ক্যালরিও কম। কিন্তু ভাতের চেয়ে আমে মিনারেল ও ভিটামিন অনেক বেশি।
ফলে বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ওজন নিয়ন্ত্রণ ও সুস্থতার লক্ষ্যে দিনে একবেলা ভাত বাদ দিয়ে পরিমিত আম খাওয়া যেতে পারে।
ডায়াবেটিস না থাকলে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দিনে ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত আম খেতে পারেন, অর্থাৎ আধা থেকে এক কাপ কাটা আম। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ আরও কম হওয়া উচিত।
যদি কেউ ওজন বা রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাহলে সকালে বা দুপুরে একবেলা ভাতের পরিবর্তে আম খাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
“ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি বাংলাদেশ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার”
আম বাঙালির প্রিয় একটি ফল, যার স্বাদ ও গন্ধ স্মৃতি জাগানিয়া। তবে এর পুষ্টিগুণ জানলে বুঝতে পারবেন—এটি কেবল স্বাদের নয়, স্বাস্থ্যেরও রত্নভান্ডার। তাই খান অবশ্যই, কিন্তু পরিমিত পরিমাণে। তাহলেই মিলবে আসল উপকার।
Leave a Reply