
মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী আব্দুল্লাহ হাসান। ৪১ বছর আগে যিনি দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন, আজ তিনি হয়ে উঠেছেন এক উদ্দীপনাময় বামপন্থী আন্দোলনের প্রতীক।
১৯৮০-এর দশকে গাজা ও পশ্চিম তীরে একাধিক গেরিলা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে পরিচিতি পান আব্দুল্লাহ। দীর্ঘ কারাবাস, রাজনৈতিক নিস্ক্রিয়তা ও পারিবারিক সংকটের মধ্যেও তিনি হারাননি আদর্শের পথ।
বহু বছরের নীরবতার পর আব্দুল্লাহ এখন ফিরেছেন নতুন পরিচয়ে—একজন চিন্তাবিদ ও সমাজবিপ্লবী হিসেবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন, শ্রমিক অধিকার এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন নিয়ে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ মধ্যপ্রাচ্যের তরুণদের মাঝে তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা বই “স্বাধীনতা মানে কেবল পতাকা নয়”, যেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন—
> “স্বাধীনতা শুধু ভূখণ্ড নয়, বরং মানুষের মর্যাদা, অর্থনৈতিক সাম্য ও চিন্তার মুক্তিই প্রকৃত মুক্তি।”
তার বক্তব্য ও লেখনী ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে তরুণ সমাজের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গাজা ও রামাল্লায় তার বক্তৃতা এখন অনুপ্রেরণার নতুন ভাষা।
বামপন্থী সংগঠনগুলো তাকে আখ্যা দিচ্ছে “নতুন প্রজন্মের চে গুয়েভারা” হিসেবে।
৪১ বছর পর আব্দুল্লাহ শুধুই একজন প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা নন, তিনি এখন এক বিকল্প ভাবনার নাম, এক সামাজিক পরিবর্তনের প্রতীক। তার এই নবজাগরণ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
Leave a Reply