কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ছোট শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এখনো প্রাচীরবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এই সুযোগে বিদ্যালয়ের মাঠের উত্তর পাশে গড়ে উঠেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড এবং পূর্ব পাশে ময়লার ভাগাড়। এতে চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়সংলগ্ন সড়কে চলাচলকারী গাড়ির হাইড্রোলিক হর্ন এবং মাঠে রাখা যানবাহনের কারণে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মনোযোগ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে, ময়লার দুর্গন্ধে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়ের সবাই।
জানা যায়, উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামে লাল মিয়া ১৯৪০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এখানে ২৫০ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক কর্মরত। এটি উপজেলার একটি ক্লাস্টার স্কুল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম মিয়া জানান, সীমানা প্রাচীর না থাকায় মাঠের বিভিন্ন অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে। মাঠে গাড়ি পার্কিং ও পূর্ব পাশে ময়লার ভাগাড় স্থাপন শিক্ষার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বারবার উদ্যোগ নিয়েও জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও স্থানীয় বাধার কারণে প্রাচীর নির্মাণ সম্ভব হয়নি।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র কামাল হোসেন জানায়, “মাঠের গর্ত আর ময়লার গন্ধে ঠিকমতো ক্লাস করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিন দুর্গন্ধে এক সহপাঠী বমিও করে।”
আরেক শিক্ষার্থী জাহিদ বলে, “স্কুলের পশ্চিম পাশে আমাদের খেলার জন্য কিছু খেলনা রয়েছে, কিন্তু প্রতিদিন সকালে সেখানে গাড়ি রাখা থাকায় আমরা খেলতে পারি না।”
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, “এটি একটি ক্লাস্টার স্কুল হওয়ায় প্রায়ই সেখানে যেতে হয়। কিন্তু প্রতিবারই দেখি মাঠে গাড়ি পার্কিং ও ময়লার ভাগাড়। জমি সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুত সমাধান করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ খুবই জরুরি।”
Leave a Reply