ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় মাছ ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও ভাঙচুর করা হয়েছে উভয় এলাকার অন্তত ১০টি বসতঘর ও দোকান। রোববার (১৮ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে।
উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন জানান, শনিবার চরপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে এক দোকানদারের মাছ কেনাবেচা নিয়ে তর্ক হয়। এর জের ধরে রবিবার সকালে চরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই দলের ছাত্রদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে শৈলকূপা উপজেলার মাইলমারি গ্রামের লোকজন চরপাড়া বাজারে হামলা চালায়। পরে চরপাড়াবাসী পাল্টা প্রতিরোধে এগিয়ে এলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলা এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও মারামারি হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষে চরপাড়া গ্রামের প্রায় ২টি বাড়ি ও ৭-৮টি দোকান ভাঙচুরের শিকার হয় বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিএম তারিকুজ্জামান বলেন, মাছ কেনাবেচাকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চরপাড়া গ্রামের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রউফ খান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি, তবে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply