বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে, ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
মেজর সিনহা হত্যা মামলা:ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ,রায় ২ জুন
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে স্থানীয় প্রশাসন সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত হাতিয়ার সঙ্গে নৌপথে ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানি ঢুকতে শুরু করেছে নিঝুম দ্বীপসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানে থাকা হরিণের পাল। চরইশ্বর, নলচিরা, ঢালচর, সুখচর, চরঘাসিয়া সহ বিভিন্ন চরের সড়ক ও ঘরবাড়িতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষ অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবলু জানান, “লঘুচাপের কারণে টানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ো বাতাসে সাগর উত্তাল থাকায় হাতিয়ার সঙ্গে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ। অস্বাভাবিক জোয়ারে আমাদের ইউনিয়নের কয়েকটি প্রধান সড়ক প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।”
“নির্বাচিত সরকার থাকলে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা হতো না”—শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সাগর অত্যন্ত উত্তাল রয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
Leave a Reply