জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেছেন, “আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। সবাই অতীতের মতোই দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে কাজ করবেন।”
বিশেষ অভিযানে আদাবর ও মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ২৮
সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
চেয়ারম্যান জানান, চলতি অর্থবছরের শেষ দিন সকাল পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শেষ হিসাব অনুযায়ী রাজস্ব আরও কিছু যোগ হবে। যদিও চূড়ান্ত পরিসংখ্যান পেতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগবে, তবুও গত বছরের তুলনায় আদায়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গত অর্থবছর (২০২৪-২৫) রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের শুরুতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা পরে কমিয়ে ৪ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। তবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এনবিআর প্রায় এক লাখ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে, যা একটি রেকর্ড বলেই বিবেচিত হচ্ছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, চলমান আন্দোলনের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে রাজস্ব আদায়ের গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং রাজস্বনীতি ও ব্যবস্থাপনা—এই দুটি নতুন বিভাগ গঠনের প্রস্তাব দেয়। এ প্রেক্ষিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এনবিআর বিলুপ্তি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয় ২৫ মে জানায়, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশে পরিবর্তন আনা হবে—এ ঘোষণার পর আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
তবে ২২ জুন থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আবারও আন্দোলন শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (২৯ জুন) সারা দেশে এনবিআরের কর, মূসক ও শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করেন।
Leave a Reply