দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনে রক্তপাত আর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আসা ইসরায়েল এবার ইতিহাসের ভয়াবহতম প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে গেছে হাজার হাজার একর জমি। এই দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে দেশটি।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল-এর ১ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জেরুজালেমের পার্বত্য অঞ্চলে দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এতটাই সংকটাপন্ন যে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সা’আর এক বিস্তৃত কূটনৈতিক উদ্যোগ শুরু করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চেক প্রজাতন্ত্র, সুইডেন, আর্জেন্টিনা, স্পেন, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দিন শেষে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গেও তিনি সহায়তার বিষয়ে কথা বলেন।
শ্রমজীবী মানুষ এখনো দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করছে: তারেক রহমান
ইতোমধ্যে ইতালি ও ক্রোয়েশিয়া তিনটি ‘সুপারস্কুপার’ বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোমানিয়া একটি অগ্নিনির্বাপণ বিমান ও একটি সহায়ক লজিস্টিকস বিমান পাঠাবে। এছাড়া স্পেন দুটি এবং ফ্রান্স একটি অগ্নিনির্বাপণ বিমান পাঠাবে। ইউক্রেন, ইকুয়েডর ও আরও কয়েকটি দেশ সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিছু দেশ হেলিকপ্টার পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজে জাতীয় কমান্ড সেন্টারে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন।
রাতের অন্ধকারে বিমান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আন্তর্জাতিক সহায়তা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্যকরভাবে শুরু হয়। এর মধ্যেই ইসরায়েলের এলাদ বিমান স্কোয়াড্রন ও পুলিশ হেলিকপ্টারগুলো আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের আর্তনাদ ও নির্যাতনের ফল যেন প্রকৃতিই এবার দেখাচ্ছে অন্যভাবে। মানবতার বিরুদ্ধে বর্বরতার যে অধ্যায় ইসরায়েল রচনা করেছে, তার প্রতিফলন যেন প্রকৃতির প্রতিক্রিয়ায় ফুটে উঠছে।
Leave a Reply