হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ডুবাঐ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে গরু-ছাগলের হাট বসানো হচ্ছে, যার ফলে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলার বৈধ পশুর হাটের ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
ঘুমন্ত শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা
গত মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও গ্রামের মানুষ গরু-ছাগল নিয়ে ডুবাঐ বাজারে জড়ো হলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেক মিডিয়াকর্মী ও স্থানীয়রা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে হাট বসিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাদের অভিযোগ, “আমাদের জন্য আইন থাকলেও, ডুবাঐ বাজারে যারা অবৈধ হাট বসাচ্ছে, তাদের জন্য আইন আলাদা। না হলে তারা এত দিন ধরে এই অবৈধ কাজ চালিয়ে যেতে পারত না।”
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাহুবল উপজেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র দুটি পশুর হাট ইজারা দিয়েছে—মিরপুর ও গাংধার। মিরপুর বাজারটি ৪০ লাখ ১৭ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছেন আব্দুল মালেক এবং গাংধার বাজারটি ১ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকায় ইজারা নিয়েছেন সারোয়ার হোসেন সুজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে ডুবাঐ বাজারে অবৈধ হাট চালানো হচ্ছে। যদিও হাট বসানোর জন্য আবেদনপত্রে বাজারের পূর্ব পাশের কথা উল্লেখ আছে, বাস্তবে হাট বসছে পশ্চিম পাশে, এলজিইডির রাস্তা জুড়ে।
মির্জাপুরে প্রবাসীর মাইক্রোবাসে ডাকাতি,গুলিতে আহত পুলিশ রেকারচালক
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, “ডুবাঐ বাজারে অবৈধ হাট বসানো সম্পর্কে আগে জানা ছিল না। জানার পর সংশ্লিষ্টদের ডেকে তাদের কাছে জেলা প্রশাসকের বরাবর করা একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। জেলা প্রশাসকের অনুমোদন না আসা পর্যন্ত হাটটি বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Leave a Reply