ভোক্তা বা এসি ক্রেতারা
এসি কেনার সময় বিদ্যুৎ সাশ্রয়, প্রযুক্তি, টন ক্ষমতা, কনডেনসার ও গ্যাস নির্বাচনসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনায় নেওয়ার পরামর্শ।
বর্তমান গ্রীষ্ম মৌসুমে এসির চাহিদা বাড়ায় এই সতর্কতা প্রাসঙ্গিক।সারাদেশে ইলেকট্রনিকস বাজার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এসির প্রচলিত বিক্রি হচ্ছে।বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো, টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে এসি ব্যবহারের জন্য সচেতনতা তৈরি।
স্টার রেটিং: এসির গায়ে থাকা এক থেকে পাঁচ স্টারের মানে হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পরিমাণ। এক স্টার মানে বছরে ৮৪৩ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ, পাঁচ স্টার মানে বছরে ৫৫৪ ইউনিট।
ইনভার্টার বনাম নন-ইনভার্টার: ইনভার্টার এসিতে বিদ্যুৎ বিল কম আসে, কারণ এটি কমপ্রেসরের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। নন-ইনভার্টার এসির কমপ্রেসর বারবার বন্ধ-চালু হয় বলে বিল বেশি আসে।
টন নির্বাচনে ঘরের আয়তন: ১০০-১২০ বর্গফুট ঘরের জন্য ১ টন, ১৫০-২০০ বর্গফুটের জন্য ২ টন এসি উপযোগী।
কনডেনসার ও কমপ্রেসর: ১০০% কপার কনডেনসার ও কমপ্রেসর দীর্ঘস্থায়ী ও কম বিদ্যুৎ খরচে কার্যকর।
উইন্ডো বনাম স্প্লিট এসি: স্প্লিট এসি কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। উইন্ডো এসি বিদ্যুৎ বেশি খরচ করে।
সাবধানতা ও রক্ষণাবেক্ষণ
: বছরে অন্তত দুবার ফিল্টার পরিষ্কার, পরিবেশবান্ধব গ্যাস (৪১০এ বা আর৩২) ব্যবহার, এবং সঠিক মুড ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিশ্চিত করা উচিত।
Leave a Reply