বিন্দু বিন্দু জলে ভিজে চোখের কোণ,
স্মৃতিরা আসে আর নেয় না ঋণপণ।
জন্মজন্মান্তরের কষ্টের ভার,
বয়ে চলে মন, হয়ে ওঠে ছারখার।
মেঘের ভেলায় ভেসেছি যতবার,
আশার বদলে এসেছে অন্ধকার।
বৃষ্টি হয়ে সে ভিজিয়েছে দ্বার,
থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে আমার।
আঙিনায় নেমেছে জলঝরার ঢেউ,
হৃদয় পোড়ে যেন আগুনের ঢেউ।
সুখের ছায়া যতবারই ছুঁয়েছি,
তার চেয়ে দুঃখে শতগুণ পুড়েছি।
জ্বালিয়েছে আগুন, করেছে ছাই,
তবুও বুঝিনি, কে সুখ, কে ব্যথায়।
পুড়ে পুড়ে হয়েছি আমি ছারখার,
জীবন কাঁদে, হৃদয় করে হাহাকার।
বারেবারে ডুবেছি সেই বানে,
নাই কোনো তরণী শান্তির টানে।
ক্ষান্ত হয়নি সে, তবু ছিলাম নির্বাক,
জ্বালার মাঝে খুঁজেছি ভালোবাসার ফাঁক।
না জেনেও কষ্টে দিয়েছি বাস,
অচেনা বেদনায় ছিলো পরিহাস।
বিলিয়ে দিয়েছি নিজেকে ভেবেচিন্তে,
দগ্ধ হয়েছি প্রতিটা নিশ্বাসে ত্রিমাত্রিক চিত্রে।
জীবনের নদী ব্যথায় পূর্ণ জল,
ডুবে গেছে আশা, ছিল না কেবল ভুল।
তবুও সেই জ্বালায় ফিরে ফিরে যাই,
যেন ব্যথার মাঝেও সুখ লুকিয়ে পাই।
এই তো আমি—জল, আগুন, ধোঁয়া,
তবুও স্বপ্ন দেখে; কাঁদে না থেমে কভু বা।
Leave a Reply