
২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্ব বাণিজ্য প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানি বৃদ্ধিই এ প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ।
চীনে জুন মাসে ভোক্তা মূল্য সামান্য বৃদ্ধি — ব্যয়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ইঙ্গিত
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড)-এর অর্থনীতিবিদ আলেসান্দ্রো নিকিতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব সত্ত্বেও ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় বৈশ্বিক বাণিজ্য ১.৭ শতাংশ বেড়েছে।
নিকিতা বলেন, “মার্কিন কোম্পানিগুলো শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে পণ্য মজুদ করায় আমদানিতে হঠাৎ বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে।” আঙ্কটাড-এর মতে, সেবা খাত ছিল এই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্ব বাণিজ্য ১.৫ শতাংশ এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নত অর্থনীতি এই সময় উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় ভালো করেছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে গ্লোবাল সাউথের পক্ষে থাকা প্রবণতার বিপরীত।
মার্কিন আমদানিতে ১৪ শতাংশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানিতে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এই পরিবর্তনের মূল কারণ। অন্যদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর আমদানি ২ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে, বিপরীতে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বৃত্ত বাড়ছে। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো পণ্যে নতুন শুল্ক বিশ্ব বাণিজ্যে বিভাজনের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
আরএমজি খাতে পরিবেশবান্ধব অর্জন:আরও দুই কারখানার‘লিড’সনদ লাভ
তবে আঙ্কটাড বলছে, বাণিজ্যে এখনো স্থিতিস্থাপকতার লক্ষণ রয়েছে, যদিও এর স্থায়িত্ব নির্ভর করবে নীতিগত স্পষ্টতা, ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খলার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতার ওপর।
Leave a Reply