বিশ্বায়নের এ যুগে অনেকেই চান নিজ দেশের পাশাপাশি অন্য একটি দেশের নাগরিকত্বও রাখতে। আর এর একটি সহজ উপায় হলো—ভিনদেশি কাউকে বিয়ে করা। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে আজকাল ভিনদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব কিংবা সম্পর্ক গড়ে তোলা খুব একটা কঠিন নয়। আবার উচ্চশিক্ষা কিংবা চাকরির সুবাদে বিদেশে গিয়ে গড়ে ওঠে প্রেম, যা পরে রূপ নেয় দাম্পত্য সম্পর্কে।
১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের
বিশ্বে কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে ওই দেশের নাগরিককে বিয়ে করলেই সহজে নাগরিকত্ব মিলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি দেশের নাম ও তাদের শর্তসমূহ:
স্পেন
দক্ষিণ ইউরোপের অন্যতম বড় দেশ স্পেনে নাগরিকত্ব পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র এক বছর একসঙ্গে বসবাসের পরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। তবে এ সময় বৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করতে হবে।
আর্জেন্টিনা
ফুটবলপ্রেমীদের কাছে আবেগের দেশ আর্জেন্টিনা। এখানকার কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে আপনি স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন। মাত্র দুই বছর পরই নাগরিকত্বের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
মেক্সিকো
মেক্সিকোর আইন অনুযায়ী, মেক্সিকান নাগরিককে বিয়ের পর মাত্র দুই বছর একসঙ্গে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। তবে এর জন্য থাকতে হবে বৈধ বিয়ের সনদ, স্প্যানিশ ভাষায় মৌলিক দক্ষতা এবং একসঙ্গে বসবাসের উপযুক্ত প্রমাণ।
তুরস্ক
তুরস্কে বিয়ের পর নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম বেশ সহজ। তিন বছর বৈধভাবে একসঙ্গে থাকলেই আপনি দেশটির নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তুর্কি ভাষা বা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার বাধ্যবাধকতা নেই।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড সাধারণত কঠোর অভিবাসন নীতির দেশ। তবে সুইস নাগরিককে বিয়ে করলে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিয়ের পর কমপক্ষে তিন বছর একসঙ্গে বসবাস করতে হবে এবং পাঁচ বছর দেশটিতে অবস্থান করার পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যাবে।
চলে গেলেন ‘কাটা লাগা’খ্যাত শেফালী জারিওয়ালা, শোকের ছায়া বলিউডে
বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া গেলেও প্রতিটি দেশেরই কিছু নির্দিষ্ট আইন-কানুন ও প্রক্রিয়া রয়েছে। তাই আগ্রহীরা এসব দেশের অভিবাসন আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
Leave a Reply